আজকের পৃথিবীতে মানসিক স্বাস্থ্য আর কোনো সীমাবদ্ধ বিষয় নয়, এটি এখন বৈশ্বিক আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি আট জনের একজন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
ডিপ্রেশন, অ্যানজাইটি, বার্নআউট- এসব শব্দ এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে।
সমস্যা হলো, শারীরিক অসুস্থতার মতো মানসিক অসুস্থতা দৃশ্যমান নয়, তাই সমাজে এটি নিয়ে খোলাখুলি কথা বলার প্রবণতাও কম।
অন্যদিকে প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন আমাদের জীবনকে সহজ করেছে, তেমনি মানসিক চাপও বাড়িয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার ক্রমাগত তুলনা, কাজের অস্বাভাবিক চাপ, একাকীত্ব সব মিলিয়ে মানসিক স্থিতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উন্নত বা উন্নয়নশীল, দুই ধরনের দেশেই বিষয়টি সমানভাবে দেখা যাচ্ছে।
তবে আশার কথা হলো, এখন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিভিন্ন দেশে হেল্পলাইন, কাউন্সেলিং সার্ভিস, এমনকি কর্মক্ষেত্রেও ওয়েলনেস প্রোগ্রাম চালু হচ্ছে।
মূল বিষয় হলো এটি কোনো লজ্জার বিষয় নয়, বরং চিকিৎসাযোগ্য। যেভাবে আমরা জ্বর বা মাথাব্যথার চিকিৎসা করি, সেভাবেই মানসিক সুস্থতার জন্য সাহায্য চাওয়া উচিত।