Verified

LifeSpring Panthapath

  • Mental Health Service in Dhaka
  • Open now
  • 4.5
    (452)
LifeSpring Panthapath
LifeSpring Panthapath
2 months ago
অনেকেই মনে করেন, সহমর্মিতা বা অন্যের অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীলতা যেন একধরনের দুর্বলতা।

ভাবেন, যারা বেশি অনুভূতিপ্রবণ বা অন্যের দুঃখ-কষ্ট অনুভব করতে পারেন, তারা হয়ত খুব নরম মনের মানুষ — সহজেই ভেঙে পড়েন, বাস্তবতা সামলাতে পারেন না। কিন্তু আদৌ কি তাই?

সহমর্মিতা হলো এক গভীর মানসিক শক্তি, যা আমাদেরকে মানবিক করে তোলে। এটি শুধু কারো জন্য দুঃখবোধ করা নয় — বরং বুঝতে পারা, অনুভব করতে পারা এবং প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা রাখা।

একজন সহমর্মী ব্যক্তি যখন অন্যের যন্ত্রণায় সাড়া দেন, তখন তারা কেবল সহানুভূতিশীলই নন, বরং আত্মসচেতন, সংবেদনশীল এবং মানসিকভাবে সাহসী। কারণ, সহমর্মিতা দেখাতে হলে নিজের কমফোর্ট জোন ছেড়ে অন্যের কষ্টে সাড়া দিতে হয়।

আজকের দ্রুতগতির প্রতিযোগিতামূলক দুনিয়ায় সহমর্মিতা অনেক সময় ভুলভাবে ‘সফটনেস’ বা ‘নেতিবাচক আবেগ’ হিসেবে দেখা হয়।

কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, সহমর্মিতা অফিস, পরিবার, এমনকি সমাজেও সুসম্পর্ক গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি নেতৃত্ব, পারস্পরিক সম্পর্ক ও সমস্যা সমাধানে সহায়ক।

তাই সহমর্মিতা কখনোই দুর্বলতা নয় — বরং এটি একজন মানুষের ভেতরের সবচেয়ে বড় শক্তির প্রকাশ।

যারা সত্যিকারের সহমর্মী, তারা জানেন কখন অনুভব করতে হয়, কখন শক্ত থাকতে হয়, আর কখন এগিয়ে গিয়ে হাত বাড়াতে হয়।

আপনি কি সহমর্মিতা দেখাতে ভয় পান? ভাবেন লোকে আপনাকে দুর্বল ভাববে?

সহমর্মিতা লুকিয়ে রাখবেন না — বরং গর্বের সঙ্গে জড়িয়ে নিন, কারণ এটাই আপনাকে একজন পূর্ণ মানুষ করে তোলে।
This site uses cookies from Google to deliver its services. By using this site, you agree to its use of cookies.